বুনো,
বন্ধু চাই.....পত্র মিতালী।
আমার প্রাণের বান্ধবী সোমা পাল।
শ্যামবর্ণা, দীঘল কালো চুল, দেহের গড়নে আটসাট।
খুব ভালো নাচিয়ে, খুব ভালো হাওয়ায় গিটার বাজাতো।
কলেজ বন্ধ হলেই ল্যান্ড ফোনে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা।
তাতে কি মনের স্বাদ মিটে!
বিশাল বিশাল চিঠি পাঠাতো।
একদিন মন মরা বসন্তে মিতালী বন্ধু
তরুণের সাথে দেখা দুজনার।
বুয়েট পড়ুয়া, হ্যান্ডসাম আর মিষ্টি অবয়ব।
দেখা করে যাবার পথে সোমা হাত ভর্তি
গিফটের পশরা তরুণ কে ধরিয়ে দিলো!
রোমাঞ্চকর প্রেম, প্রেমের উত্তাল ঢেউ
সে ঢেউ কামনার জন্ম যা তরুণের
চিঠির ভাষায় বোঝা যেতো।
সাদর সম্ভাষণে সোমা কে ঢাকায় নিমত্রণ তরুনের।
রোদে মেঘে সাতদিন পার করেও তরুনের দেখা নেই।
আজ দিন বড় কেশ রঙিন!
ডাক পিয়ন আজ চিঠি নিয়ে আসেনি,
সারপ্রাইজ বিয়ের কার্ড এলো।
সোমা স্তব্দ, কলেজ যাওয়া বন্ধ।
বুনো,
সোমার চোখ থেকে উড়ে গেলো বিশ্বাসের জল।
বাবলা বনে আর একা হাটেনা।
তেলকুচার পাতায় মন ভরেনা।
জলবতী বিপন্ন প্রহরে ভায়োলিনের
করুণ সুর মাতম করে
শব্দহীন ঘড়ির মতো নিশ্চুপ।
জল ঝরে পাতা নড়ে.... শুকনো পাঁপড়িতে।
বুনো,
বর্ণ, গন্ধ পেরিয়ে আসে অচেনা ধর্মের আগুন্তক
পর্দা সরানো ভেজা রাত্রির সহবাসে!
সোমার ভেতরে পাপ কাঁপে।
কেঁদে ওঠে ওর ঝুমুর নাচের পায়েল।
সম্পর্কের দেয়ালে দেয়ালে অনাহুত শৈবাল।
বাঁচার স্বার্থে পা বাড়ায় নন্দিত নরকে বাহু বন্দি করে!
ভিন্ন হাতে ভিন্ন আঙ্গিকে শত শব্দের খেলা
রাতবিহীন ভোরে স্বপ্নের শতদল ফোটে।
বুনো,
করতলের জল নিংড়ে ফেলি।
তবু্ও ভরা দীঘির মতো নীলজল
শান্ত সবুজ মনের ঘরে বসত করে।
একটু কাছে এসো,ছুঁয়ে দেখো কৌশলে
কত রাত সঙ্গমহীন ঘরে
বুকের কাঁচুলিতে ভরে গেছে ভেজা জল।
এসো, একটি রাতের অঞ্জলী হাতে
আমি সম্প্রাদানে অর্ঘ দেবো!! !