মেয়ে,
কেউ কী তোমায় হুট করে ফোন দিয়ে বলে তোমার কন্ঠস্বর শোনার জন্য তার দমবন্ধ লাগছিলো?
কেউ কী মাঝরাতে তোমায় ঘুম থেকে তুলে বলে তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখে তার ঘুম ভেঙে গিয়েছিলো?
কেউ কী আচমকা তোমার বাড়ির রাস্তাটায় এসে ফোন দিয়ে বলে তোমায় এক নজর দেখার জন্য কতোটা পথ পাড়ি দিয়ে এলো?
কেউ কী যখন তখন তোমার হাতটা শক্ত করে ধরে বলে ছেড়ে যেওনা,ছেড়ে গেলে বাঁচবো না?
বলে কেউ এভাবে?
মেয়ে,
তুমি অভিমান করলে কী কেউ বুঝতে পারে?
তোমার জন্য আকাশের চাঁদ না হোক,এক প্লেট ফুচকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে কী কেউ মন ভালো করে?
তুমি কাঁদলে কী কারো বুকের ভেতরে কষ্ট হয়?
তোমার চোখের জলে কী কারো বুক ভেসে যায়?
তুমি হাসলে কী কারো পুরো দুনিয়া একসাথে হেসে ওঠে?
তুমি হাসলে কী কারো বুকে প্রশান্তির ঢল নামে?
মেয়ে,
তোমার মন খারাপের খবর কে রাখে?
কে তোমার মন খারাপের দিনে তোমায় জড়িয়ে রাখে?
কে তোমার কপালে ঠোঁট ছুঁইয়ে দুঃখগুলো তাড়িয়ে দেয়?
কে তোমার অভিমানের সাথে ঝগড়া করে তোমায় মন ভালো করার মন্ত্র এনে দেয়?
কে তোমার মনের গোপনে লুকোনো যা সবটা জানে?
কে তোমায় তোমার থেকেও ভালো বোঝে?
মেয়ে,
তুমি জানো কে তোমায় তোমার থেকেও ভালো বোঝে?
কে তোমায় তুমি যেমন তার জন্যই শুধু ভালোবাসে?
তোমায় দেখে প্রতিমুহূর্তে এক কোটিবার কে প্রেমে পড়ে?
তুমি কী জানো তাকে?
মেয়ে,
খুঁজে নাও এমন মানুষটাকে-
চোখ মেলে দেখো হাজারটা মুখোশের ভীড়েও এমন একজন ঠিকই আছে,
যার চোখের দিকে চেয়ে কাটিয়ে দিতে পারবে একটা জনম নিশ্চিন্তে, ভালোবেসে।