পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম তাকে-
কতোটুকু সুখ চাই তোমার?
বলো,চুপ থেকো না-
যা চাইবে -
আমার সীমারেখার মধ্যে চাইবে,
যদি- বলো আকাশের চাঁদটাকে চাই
ওটা আমার দ্বারা সম্ভব নয়,
যদি-বলো সূর্যটাকে একটু থামিয়ে দিতে-
ওটাও আমার দ্বারা সম্ভব নয়।
আমি যা পারবো না -
তার মিথ্যে প্রতিশ্রুতি আমি তোমাকে দেবোনা,
কাল্পনিক- অক্ষম-দুষ্প্রাপ্য -অসম্ভব -চাওয়া -
ঐগুলো বাদ দাও;
যৌক্তিকভাবে চাও- যা সম্ভব-যতটুকু সম্ভব-আমি তাই তোমাকে দেবো
আমি সক্ষম-কার্যক্ষম দুটো হাত-পা-মস্তিষ্ক-বিবেক বুদ্ধি সবই আছে,
তোমার সব মৌলিক চাহিদা-ই পূরণ করার ক্ষমতা আমি রাখি,
তাছাড়াও দিতে পারি-
অফুরন্ত ভালোবাসা- দিতে পারি-কিছু বিশ্বাস-
দিতে পারি বিনোদন-দিতে পারি ভরসা-স্বস্তির নিঃশ্বাস।
দিতে পারি যদি মেনে নাও -মন থেকে-
দিতে পারি ভালো থাকার নিশ্চিয়তা ;
বলো? তারচেয়ে অধিক আর কি চাই-?
অযথায়-বৃথা-আকাশ কুসম স্বপ্ন দেখে কি লাভ হবে?
দিন শেষে শূন্য হাতে-ই ফিরতে হবে,
অঢেল সুখ আমাদের চারপাশে আছে -
চলো আমরা সেইগুলো উপভোগ করি;
আমরা আমাদের মতো করে বাঁচবো-
দূরের কাউকে দেখে আমরা আফসোস আর অনুতপ্ত হবো-না,
রাতের নির্জনে -দু'জনে এক সাথে জোৎস্না বিলাসী রাতের চাঁদটাকে দেখবো,
তুমি সুর ধরে গান গাইবে -আমি শুনবো,
তোমাকে নিয়ে কবিতা লিখবো-গল্প হবে রাত জেঁগে,
আমাদের দেখে -রাত জাগা পাখিরা লজ্জায় আড়াল হবে-
তাতে কি হবে -দু'জনেই-তো;
বিকেলের উপকন্ঠে -সমুদ্রের ঢেউ দেখবো;
দেখবো অতিথী পাখির সমাগম,
দেখবো বালুচর-অন্ধকার রাতের ঝি্ঝি পোকা-
আমরা সখের পায়রা পুষবো-
আমাদের উঠোনের অাঙিনায় থাকবে-শিউলি ফুলের গাছ-
থাকবে হাসনাহেনা -রজনীগন্ধা-লাল-সাদা গোলাপের বাগান-
থাকবে নীল অপরাজিতা-এলিট-ক্যাকটাস-নাইটকুইন- আরো কতোকিছু....
একটু ধৈর্য ধরো-দেখবে কতো সুখ খেলা করে -আমাদের চারপাশে
শহরের রঙচটা রঙিন জীবনে -তুমি ততোটা সুখ খুঁজে পাবেনা,
সীমাহীন অর্থের মাঝে সুখ নেই- আছে দাম্ভিকতা-ঘৃণা- জ্বলে পুড়ে মরার কষ্ট;
এক সময় নিঃসঙ্গ হয়ে যাবে,
একজন মানুষকেও পাশে থাকার মতো পাবেনা-খুঁজে;
এবার ভেবে দেখো- কি করবে?
সুখের বারতায়-নিজেকে অন্ধ করে রাখাটা কি ঠিক হবে-
বলো?
সম্পর্ক;ওটা ভেঙো না-
ভাঙনে কখনো সুখ আসেনা,
বরং প্রতিটি ভাঙন পরবর্তী সম্পর্কে-দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
দু'জনেই সুখে থাকি চলো- চলো-না একটু মানিয়ে নেই,
সেদিন তার পড়নে ছিলো বাসন্তি রঙের শাড়ি,
শাড়িটা-কে দেখায়ে বললাম- দেখতো,কত সুন্দর লাগছে তোমায়;
দামী শাড়ি-হাত ভর্তি চুড়ি-দামী গহনা পড়লে-ই যে বেশ লাগবে -
তা কিন্তু নয়,-সুন্দর সে'তো এমনিতে-ই সুন্দর,
তবুও তোমার ইচ্ছে অনুযায়ী সাঁজবে - আমার দেয়া উপহার-
তোমাকে বেশ মানায়; কেবল তুমি মেনে নিলে-ই হবে,
প্রতিদিনকার মতো আদর করে-ই বললাম-প্লিজ সোনা, আর-ত কটা দিন-
মানুষ কত দিনই বা বাঁচে-
দেখিনা- মাটি-গাছ-বৃক্ষ-তরুলতা-পশু-পাখি-নদী-সমুদ্র-
এদেরকে ভালোবেসে ;
দু'জনেই একসাথে -এদের মাঝে বেঁচে থাকি,
আমার মেধা-যোগ্যতা-শক্তি দিয়ে - আমি ওদের বুকে -
প্রতিদিন তোমার জন্য নিত্য নতুন ভালোবাসা রচনা করে যাবো-
আমাকে একটু সুযোগ করে দাও;
আমার সমস্ত চাওয়া-পাওয়া-ধ্যান-ধারনা-জ্ঞান-খেল- সব কিছুতে-ই যে রয়েছো-তুমি;
পৃথক করে আমিও সুখ পাবোনা- পৃথক হয়ে তুমিও ততোটুকু সুখি হবেনা।
ভেবে দেখো-কোথায় কতোটুকু সুখ,
সপ্তাহ সময় দিয়ে চলে গেলাম আমি-
ভেবেছিলাম,- দীর্ঘ পথ হেঁটে এসে -আমি তাকে দেখতে পাবো-
দেখতে পাবো এক ভিন্ন রুপে- কিছুটা অন্যভাবে পরিমার্জিত ;
না,তা আর হলো কোথায়?
এখন আমিও আর সুখের প্রদীপটা জ্বালাতে চাইনা-
চাইনা কোনো কৃত্রিম আলো-
একটা বাঁশবাগান গড়ে তুললাম-
সে নেই- অথচ -
এখন প্রতিদিন অন্ধকার হলেই জোনাকি তারার মেলা বসে,
কত সুখ খেলা করে-
বেশ-তো অন্ধকার নেমে এলে- আমি ভালো-ই থাকি !!