সে নামাজ পড়তো,
আমি মার্ক্স পড়তাম।
প্রতি মোনাজাতে আল্লাহর কাছে আর্জি করতো সে আমার দীর্ঘায়ুর,
আর 'গুলি কর শুওরের বাচ্চা' বলে-আমি বন্দুকের সামনে দাঁড়াতাম!
সে আমারে চাইতো,
আমি মানুষের মুক্তি চাইতাম।
খামখেয়ালির সব চিঠির খামে আমার ঠিকানায় 'মিছিল' লিখতো সে,
আর মিছিলের পায়ে পায়ে আমি বুঝি ইতিহাস লিখতাম!
একসাথে বাঁচতে চাইতো সে,
আমি এক ছাদের পৃথিবী চাইতাম।
আর দেরি হলে পরপুরুষ নিয়ে যাবে তাঁরে,
যতই করুক চেষ্টা দেখতে পাবেনা আমারে,
এই অভিযোগে কান্না চেপে তাকিয়ে থাকতো সে,
আর সকল পুরুষ'ই পর- এই বলে আমি হাসতাম!
প্রচন্ড হাহাকারে তিনবার কবুল পড়তো সে,
প্রচন্ড চিৎকারে আমি সুকান্তের কবিতা পড়তাম।
অভিন্ন গ্রহ তবু পৃথক জগতে দুজনের বাস,
কোথাও নেই ভালো কেউ নিজের জীবনে আজ,
সে আমারে ভালোবাসতো!
আমি কি তাঁরে কম বাসতাম?
সে নামাজ পড়তো,
আমি মার্ক্স পড়তাম।
এত ভালো লেখা, যতবার পড়ি হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
ReplyDelete